Header Ads

আমাদের আপলোডকৃত সমস্ত ফাইলগুলো ১০০% টেস্ট করা। হার্ডডিস্কে আমাদের সমস্ত ফাইল পেতে কল করুন..Mobile: 01855844254

একটি শিক্ষামূলক গল্প। আশা করি হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।



                              একটি শিক্ষামূলক গল্প। আশা করি হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।

এক শালবনে এক কাঠুরে আর তার মেয়ে বসবাস করতো। কাঠুরে সারাদিন কাঠ কেটে ছয় কিলোমিটার পায়ে হেটে গিয়ে প্রতিদিন ২/৩ টাকার কাঠ বাজারে বিক্রি করতো। সেই টাকা দিয়ে কাঠুরে কিছু চাল,ডাল,সবজি কিনে বাড়ি ফিরতো। রোজ এনে রোজ জীবিকার্জন করতো এই বাবা-মেয়ে। বাবা একদিন অসুস্থ থাকলে সেদিন আর কাঠ কাটাও হতোনা বাজার করাও হতোনা। যে কারণে সেদিন বাবা মেয়ের না খেয়ে থাকতে হতো। ধীরে ধীরে মেয়েটি বড় হয়ে উঠে। বিয়ের বয়সও পার হয়ে যেতে থাকে। কাঠুরে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য লোকালয়ের এক পণ্ডিতকে জানালো। মধ্যে জঙ্গলে যার বসবাস তার মেয়েকে বিয়ে করতে সবাই নারাজ। এই পণ্ডিতকে সবাই একনামে চেনে। কোন ছেলে বা মেয়ের সম্বন্ধের কথা বললে সে ৭ দিনের মধ্যে সম্বন্ধ মিলিয়ে দেয়। সে তার এই গর্বের চালে কোনদিনও একফোঁটা কলঙ্কের বৃষ্টি ঝরতে দিতে নারাজ। কাঠুরে নিয়মিত পণ্ডিতকে খোসামোদ করতো, তাড়াতাড়ি একটা ভালো পাত্র দেখে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। পণ্ডিত ভালো কোন ছেলে না পেয়ে তিন গ্রামের পরের গ্রামে একটা সমাজ থেকে বিথারিত একজন নেশাখোর ছেলের হয়ে সম্বন্ধ নিয়ে আসে। পণ্ডিত ইনিয়েবিনিয়ে ছেলেটার সম্পর্কে কাঠুরের কাছে অনেক মিথ্যা প্রশংসা করে। কাঠুরে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। মেয়ের সাথে ছেলের পক্ষ থেকে ২৫ টাকা পণ দাবি করে। কাঠুরে সবকিছুতেই রাজি। শেষবেলা এখন সবকিছুর বিনিময় হলেও মেয়েকে কারও হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারলেই হলো। কাঠুরে যখন কাঠ কাটতে জঙ্গলে যায়। তখন মধ্যে জঙ্গলে তার মেয়ে একা ঘরে থাকে। একদিন হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্তদের কাঠুরের মেয়েটির উপর নজর পরে। দুর্বৃত্তরা প্লান করে, কাঠুরে যখন কাঠ কাটতে ঘর থেকে বেড়িয়ে যাবে। তারা কয়েকজন মিলে এই একলা ঘরে পাওয়া মেয়েটিকে নষ্ট করবে। দুর্বৃত্তরা একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে মেয়েটির উপর আক্রমণ করবে বলে। এদিকে ঐদিনই কাঠুরের কাঠ কাটার সীমানা দখল করবে বলে ৪ জন কাঠুরে এই কাঠুরেকে মেরে ফেলের সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়ের বিয়ের ঠিক দুইদিন আগে। কাঠুরে কাঠ কাটার উদ্দেশ্যে বেড় হবে আর দুর্বৃত্তরা মেয়ের উপর তখন আক্রমণ করবে বলে তাঁক করে রয়েছে। কাঠুরে জঙ্গলে গেলে আজ তাকে মেরা ফেলবে অন্য কঠুরেরা তারাও প্রস্তুতি নিয়ে আছে। ঘর ছেড়ে কয়েক পা হাটতেই হঠাৎ আবার ঘরের দিকে ফিরে তাকালো। মেয়ের বিয়ের জন্য সারাবছর ২ আনা, ৪ আনা করে যে ২৫ টাকা জমিয়েছে সে টাকাটা কোথায় রেখেছে কাঠুরের মনে নেই। কাঠুরে টাকাটা খুঁজতে আবার ঘরে প্রবেশ করলো। এখানে ওখানে সব জায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগলো। সারাদিন ধরে এই বাবা-মেয়ে দুজনে টাকাটা খুঁজেই চললো। দুর্বৃত্তরা ভাবলো, কাঠুরে মনে হয় টের পেয়েছে সেই জন্যই আজ আর ঘর থেকে বেড় হবেনা। দুর্বৃত্তরা এইভেবে চলে গেল। ঐদিকে কাঠুরে কে মারার জন্য যারা প্রস্তুতি নিয়ে ছিলো। তারাও ভাবলো কাঠুরে মনে হয় সব জেনে গেছে। তাই সব গুছিয়ে লোকের ভয়ে ৪ কাঠুরে বাড়ি ফিরে গেল। কাঠুরে আর তার মেয়ে টাকা খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যাবয়ে দিলো। কিন্তু, টাকা আর খুঁজে পেলনা। যে কারণে ও নেশাখোর সমাজ বিথারিত ছেলের সাথে মেয়েটার আর বিয়েও হলোনা। . গল্প থেকে শিক্ষাঃ কাঠুরের সারাবছের জমানো ২৫ টাকা হারিয়ে খুব ব্যথিত হতাশ ঠিকিই। কিন্তু এই টাকা হারানোর কারণে সে আজ অন্যকাঠুরে হাতে জখম হয়নি, তার মেয়ে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বেঁচে গেল। অতঃপর নেশাখোর ছেলেটির সাথে বিয়েটাও হলোনা। আর একটু বুঝিয়ে বলি। . বিঃদ্রঃ পার্থিব জীবনে আমরা অনেক বিপদের সম্মুখী হই। হতাশা আর ব্যাথা পেয়ে জীবনটাকে দাড় করিয়ে দেই। কিন্তু খোদা এমন কিছু বিপদ দেয় তার চেয়ে বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষ্যা করার জন্য। আর সেটা আমরা বুঝতেই পারিনা। গল্পে কাঠুরের সারাবছের টাকা হারিয়ে গেছে ঠিকিই। টাকার কথা ভেবে মেয়েটাকে বিবাহ দিতে পারলোনা বলে কষ্টে জর্জরিত। কিন্তু, এই টাকার বিনিময়ে আল্লাহ তার প্রাণের হেফাযত করেছে। মেয়েকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষ্যা করেছে। এবং নেশাখোর ছেলেটির হাত থেকে মেয়েটিকে রক্ষ্যা করেছে। সেটা বুঝতে পারাটা খুবই কঠিন। আল্লাহ আমাদের ছোট ছোট বিপদ দিয়ে বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষ্যা করে সেটা আমরা খুব কমই চোখে দেখতে পাই। যে খারাপটা নিজের সাথে ঘটলো, বা ঘটছে তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটতে পারতো, সেটা একবারও ভেবে দেখিনা। আল্লাহ যা কিছু করে সবকিছুই তার বান্দার ভালোর জন্যই করে। শুধু হতাশ না হয়ে, বিপদে ধৈর্যধারণ করে ভালোটা বান্দার বুঝে নিতে হয়। -ধন্যবাদ সবাইকে

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.